লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা

  


লাজ্যবতী গাছের শিকড়ের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারে, হজমের উন্নতি করতে পারে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে এবং আমাশয়, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, জ্বর, ঠান্ডা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা, চুলের সমস্যা এবং আরও অনেক কিছুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি শারীরিক ক্লান্তি দূর করে এবং শরীরকে চাঙ্গা করে। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের ঔষধিগুণ প্রাচীনকাল থেকেই জানা। এটি বিভিন্ন দেশে ঐতিহ্যগত ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। লজ্জাবতী উদ্ভিদের মূল নির্যাস বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করা যেতে পারে। এটি ভেষজ চা, হার্বাল টনিক, ভেষজ তেল ইত্যাদি হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের ঔষধি গুণ নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তবে এটি একটি নিরাপদ ও কার্যকর ঔষধি গাছ। এটি অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

লজ্জাবতী যেসব রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে সেগুলি হলঃ

মিমোসা পুডিকা একটি ভেষজ যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা সহ। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ক্যামোমাইল রক্তচাপ কমাতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, ডায়াবেটিস পরিচালনা করতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। লজ্জাবতী হল একটি নিরাপদ ভেষজ যা বেশিরভাগ মানুষই গ্রহণ করতে পারে। যাইহোক, যে মহিলারা গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তাদের লাজবাতি খাওয়ার আগে তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

  1. রক্তচাপ
  2. হৃদরোগ
  3. ডায়াবেটিস
  4. ক্যান্সার
  5. অনিদ্রা
  6. অ্যালার্জি
  7. পেট ফাঁপা
  8. কোষ্ঠকাঠিন্য
  9.  ডায়রিয়া
  10. জ্বর
  11. সর্দি-কাশি
  12. মাথাব্যথা
  13. দাঁতের ব্যথা
  14.  জয়েন্টের ব্যথা
  15. স্মৃতিশক্তি হ্রাস
  16. আলঝাইমার রোগ
  17. পার্কিনসন রোগ
  18. মানসিক অসুস্থতা

লজ্জাবতী একটি শক্তিশালী ভেষজ যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। তবে, এটি একটি ওষুধ নয় এবং কোনও রোগের চিকিৎসা করতে পারে না। লজ্জাবতী গ্রহণের আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।


 

লজ্জাবতী গাছ কত প্রকার

 
পৃথিবীতে প্রায় 400 প্রজাতির লাজুক গাছ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল মিমোসা। গাছটি বাংলায় লজ্জাবতী বা লাজুক গাছ নামে পরিচিত। এটি একটি লতানো উদ্ভিদ যা উষ্ণ অঞ্চলে বৃদ্ধি পায়।
 
 গুল্ম পাতা খুব সংবেদনশীল। সামান্য স্পর্শে বা দমকা বাতাসে এর পাতা বন্ধ হয়ে যায়। তাই একে লাজ্যবতী বলা হয়। লাজ্যবতী গাছের ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
 
 

ব্যবহার করবেন যেভাবে

 
 
লাজ্যবতী একটি ভেষজ যা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। এটি কাঁচা, রান্না বা নির্যাস আকারে খাওয়া যেতে পারে। সালাদে বা স্যুপে কাঁচা লায়বাটি পাতা যোগ করা যেতে পারে। রান্না করা ব্রেসড পাতা মাংস বা মাছ দিয়ে রান্না করা যায়। লাজ্যবতী নির্যাস চা বা কফির মতো পান করা যেতে পারে।
 
লাজ্যবতী বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা সহ একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ভেষজ। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
 
ক্যামোমাইল রক্তচাপ কমাতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, ডায়াবেটিস পরিচালনা করতে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। লজ্জাবতী হল একটি নিরাপদ ভেষজ যা বেশিরভাগ মানুষই গ্রহণ করতে পারে। যাইহোক, যে মহিলারা গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তাদের লাজবাতি খাওয়ার আগে তাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
 
এখানে লাজ্যবতী খাওয়ার কিছু উপায় রয়েছে:
 
  • কাঁচা লজ্জাবতী পাতাগুলিকে সালাদ বা স্যুপে যোগ করুন।
  •  রান্না করা লজ্জাবতী পাতাগুলিকে মাংস বা মাছের সাথে রান্না করুন।
  •  লজ্জাবতী নির্যাসটিকে চা বা কফির মতো পান করুন।
  • লজ্জাবতী পাতাগুলিকে থেঁতো করে রস করে পান করুন।
  •  লজ্জাবতী পাতাগুলিকে ঘি বা তেলের সাথে ভেজে পান করুন।
  • লজ্জাবতী পাতাগুলিকে গুঁড়ো করে মশলা হিসেবে ব্যবহার করুন।
 

লজ্জাবতীর  চাষ

 
লজ্জাবতী (Mimosa pudica) একটি লতানো উদ্ভিদ যা এর সুস্বাদু স্বাদের জন্য পরিচিত। এটি একটি দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ যা প্রায় যেকোনো মাটিতে বৃদ্ধি পাবে।
 
আপনাকে প্রথমে মানসম্পন্ন বীজ সংগ্রহ করতে হবে। বীজ সাধারণত বসন্ত বা গ্রীষ্মে বপন করা হয়। বীজ 1/2 ইঞ্চি গভীর এবং 2 ইঞ্চি দূরে লাগান। লাজুক গাছপালা পূর্ণ সূর্য এবং জল প্রয়োজন। তারা সাধারণত রোগ বা পোকামাকড় দ্বারা প্রভাবিত হয় না। লাজুক গাছ প্রায় 6 মাসে ফুল ফোটে। ফুল সাধারণত সাদা বা গোলাপী হয়। লাজুক গাছগুলো বাগানে বা পাত্রে জন্মাতে পারে। এগুলি আপনার বাড়িকে সাজানোর জন্য একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় উদ্ভিদ।
 
লজ্জাবতী চাষের জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:
 
  • ভালো বীজ সংগ্রহ করুন।
  • বসন্ত বা গ্রীষ্মে বীজ বপন করুন।
  • বীজ 1/2 ইঞ্চি গভীর এবং 2 ইঞ্চি দূরে লাগান।
  • লাজুক গাছপালা পূর্ণ সূর্য দিন।
  • নিয়মিত জল লাজুক গাছপালা.
  • রোগ বা পোকামাকড় থেকে লাজুক উদ্ভিদ রক্ষা করুন।
  • বাগানে বা টবে লাজুক গাছ লাগান।